অপহরণের নেপথ্যে সাপের বিষ নিষ্কাশন, গয়া থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ

তিনি দাবি করেন যে তিনি সাপের বিষ বের করতে পারেন এবং যেকোনো প্রত্নতাত্ত্বিক বস্তুর মূল্য নির্ধারণ করতে পারেন। জানুন বিস্তারিত...

অপহরণের নেপথ্যে সাপের বিষ নিষ্কাশন, গয়া থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ
file image

অভ্রদ্বীপ দাস, কলকাতা: প্রাচীন নিদর্শনের খোঁজে গিয়ে অপহরণের অভিযোগে এবার নয়া তথ্য। সামনে এল অপহৃত মোহন চক্রবর্তীর চমকে দেওয়া পারদর্শীকতা। জানা গেছে, সাপের বিষ নিষ্কাশনের ফলে সাপের মৃত্যু হলে টাকা ফেরতের উদ্দেশে অপহরণ করা হয়েছিল মোহন চক্রবর্তীকে। 

সূত্রের খবর তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, মোহন চক্রবর্তীর অপহরণে সাপের বিষ নিষ্কাশন এবং সাপের মৃত্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, অপহৃত মোহন চক্রবর্তী সাপের বিষে পারদর্শী এবং প্রত্নতাত্ত্বিক জিনিসপত্রের মূল্য নির্ধারণ করতেন। তিনি দাবি করেন যে তিনি সাপের বিষ বের করতে পারেন এবং যেকোনো প্রত্নতাত্ত্বিক বস্তুর মূল্য নির্ধারণ করতে পারেন। 

আরও পড়ুন:https://tribetv.in/Kolkata-police-rescued-a-kidnapped-person-from-Gaya

বিহারের গয়ার বাসিন্দা টিঙ্কু পাসওয়ান ৬ ফুট ৯ ইঞ্চি লম্বা একটি সাপ খুঁজে পেয়েছিলেন, যার বিষের বাজার মূল্য প্রায় ১ কোটি টাকা। টিংকু জানতে পারে যে, কলকাতার বাসিন্দা মোহন এই বিষ সংগ্রহ করতে সক্ষম। টিংকু অন্য যুবকের মাধ্যমে মোহনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। মোহন ইতিমধ্যেই অনলাইনে ৭০ হাজার টাকা পারিশ্রমিক নিয়ে বিষ তুলতে বিহারের গয়ায় পৌঁছেছিলেন। কিন্তু বিষ তোলার সময় সাপটি মারা যায়।

আরও পড়ুন:https://tribetv.in/A-Young-girl-Murdered-her-Mother-with-her-Boy-friend-for-Relationship-Problem
 
এরপর টিংকু ও তার সহযোগীরা মোহনকে অপহরণ করে টাকা ফেরত দাবি করে। বৃহস্পতিবার থানায় অভিযোগ করেন অপহৃত ব্যক্তির মেয়ে। তদন্তে নেমে গয়ায় গিয়ে সেই ব্যক্তিকে গোপন আস্তানা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এক জন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ তদন্তের সময় গ্রেফতার হওয়া অজিতকে সোমবার আদালতে পেশ করা হয়, যেখান থেকে তাকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিকে অন্য আসামিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।